দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যক্ষ্মায় আক্রান্তদের ৯৫ ভাগই চিকিৎসা পাচ্ছে। তাদের জন্য দেশেই ওষুধ তৈরি করছে সরকার। আগামীতে বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। আর যক্ষ্মা নির্মূলে দেশে ভালো মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিবিতে (যক্ষ্মা) আমাদের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে, প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।
রোববার রাজধানীর হোটেলে ‘ডিসসিমেশন অন নাইনথ টিবি জয়েন্ট মনিটরিং মিশন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর ৩ লাখের বেশি মানুষ যক্ষ্মায় নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে মারা যাওয়ার হার কমেছে। আগে যেখানে ৭০ হাজার ছিল, বর্তমানে সেটি ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আমাদের মৃত্যু বেশি, কারণ আমাদের জনসংখ্যাও বেশি।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা যক্ষা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আগে বছরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মারা যেত। এখন ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। সেই সংখ্যাও কম নয়। তবে আমরা চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি করেছি। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে, শনাক্তকরণ (স্ক্রিনিং) কার্যক্রম বেড়েছে। আমাদের সব হাসপাতালে পরীক্ষার যন্ত্রপাতি রয়েছে।
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুতে প্রতিদিন ৪/৫ জনের মত্যৃ হচ্ছে। প্রতিদিন শতশত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এখন প্রতি জেলাতেই রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বার্ডান জাং রানা প্রমুখ।