বিশেষ প্রতিবেদক : শরীয়তপুরের একটি বাজার থেকে নিশিরাতে পিকআপে করে তেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়- ৪ মার্চ দিবাগত রাত ৩টা ৪৪ মিনিটে শরীয়তপুর পৌরসভার আঙ্গারিয়া বাজারের আফজাল স্টোরের সামনে এসে থামে একটি পিকআপ ভ্যান। পিকআপ থেকে কয়েকজন যুবক নেমে দোকানের সামনে থাকা তেলভর্তি সাতটি ড্রাম তুলে নিয়ে যান। পাশের হালিম স্টোরের সামনে থেকে আরও চারটি তেলভর্তি ড্রাম পিকআপে তুলে পালিয়ে যান যুবকেরা।
ওই তেল চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বাদী হয়ে সদরের পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন। তিনি মিডিয়া]কে বলেন- ড্রামে ভরা তেল দোকানের সামনে রেখে বিক্রি করি। কখনো আমাদের মনে হয়নি তা চুরি হতে পারে। ঘটনাটিতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি নতুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন মিডিয়া’কে বলেন- তেলচোর চক্রকে শনাক্ত করার কাজ করছে পুলিশ। যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে ভুয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই নম্বরের অন্য একটি গাড়ি পুলিশ শনাক্ত করলেও চুরির কাজে সেটি ব্যবহার করা হয়নি।
শরীয়তপুর সদরের পালং, আঙ্গারিয়া, নড়িয়ার ভোজেশ্বর, ঘড়িসার, জাজিরার কাজীরহাট ও গোসাইরহাট উপজেলা সদরের পট্টি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে- বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পাম তেল ১৭২ টাকা ও সুপার কোয়ালিটির তেল ১৭৫ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছেন। ওই তেল খুচরা বিক্রেতারা স্থানভেদে প্রতি লিটার ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর বোতলজাত সয়াবিন প্রতি পাঁচ লিটারের বোতল ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ দামে বিক্রি করছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শরীয়তপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক কাজী সুজন বলেন- প্রতিদিন বাজারে বাজারে গিয়ে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামে তেল বিক্রির জন্য। তারপরও অনেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন, মজুত করে রাখছেন।