দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইরানে গুপ্তহত্যায় ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর তার উত্তরসূরি হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির নজিরবিহীন হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ধরা হয় তাকে।
গত সপ্তাহে হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চরম উত্তেজনাকর এমন একটি সময়ে নিজেদের সামরিক শাখার প্রধান সিনওয়ারকে সংগঠনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয় হামাস।
বুধবার (৭ আগস্ট) ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ব্রিফিংয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল আত্মরক্ষায় বদ্ধপরিকর। সেনাবাহিনীতে নতুন নিয়োগ পাওয়া সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের রক্ষা ও আক্রমণ উভয়ের জন্য প্রস্তুত।’
অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হেলভি নতুন হামাসপ্রধানকে (সিনওয়ার) খুঁজে বের করে তার ওপর হামলা চালানোর অঙ্গীকার করেন। সেই সঙ্গে হামাসকে অন্য নেতা বাছাই করতে চাপ সৃষ্টি করার কথা জানান তিনি।
২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সিনওয়ার। কিন্তু ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সিনওয়ারকে সংগঠনের প্রধান করার মধ্য দিয়ে এ বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে হামাস তার প্রতিরোধ আন্দোলন থেকে পিছু হটবে না।
লেবাননে হামাসের মিত্র সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহও সিনওয়ারের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, হামাসের নেতা ও কর্মকর্তাদের হত্যা করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে শত্রুরা।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সিনওয়ার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় অন্যদের চেয়ে বেশি অনিচ্ছুক এবং তিনি ইরানের কাছে হানিয়ার চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ। এসআইটিই (সাইট) ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক রিটা কাৎজের মতে, হানিয়া হত্যাকাণ্ডে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা যদি কম হয়ে থাকে, তবে সিনওয়ারের অধীনে এ সম্ভাবনা হয়তো আরও কম।