দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের ফল হিসেবে অর্ন্তবর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে ঢাকা সফরে আসছেন। আসন্ন সফরে দুইপক্ষের সম্পর্কে থাকা সকল ইস্যুতে গুরুত্ব পাবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের আসন্ন ঢাকা সফরে দুইদেশের মধ্যকার সকল বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হবে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর থেকে নিষেধ্বাজ্ঞা প্রত্যাহারে ঢাকা গুরুত্ব দিবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাঁজ্ঞা প্রত্যাহারের ইস্যুটি আলোচনায় থাকছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত না।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দফতরের আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান এর নেতেৃত্বে তিন সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছেন। এই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লিন্ডসে ফোর্ড রয়েছেন। আগামী ১৪/১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধিদলটি ঢাকা সফরে আসতে পারেন। আসন্ন সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে দুইপক্ষের কূটনীতিকরা কাজ করছেন। এই সফরে মূলত দুই দেশের সম্পর্কে থাকা বিষয়গুলোর পর্যালোচনা করা হবে। তবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম ইস্যু প্রাধাণ্য পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে ঘুষ-দুর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা। অন্যান্য বাধার ক্ষেত্রে রয়েছে সরকারি কেনাকাটা, মেধা-সম্পদ সংরক্ষণ, ডিজিটাল বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পূর্ণ শ্রমিক অধিকার না থাকার মতো বিষয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এসব বাধার মুখোমুখি হয়ে থাকে। আসন্ন সফরে এসব ইস্যূতে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবণা রয়েছে। এসব ইস্যূতে উন্নতির জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইতে পারে।
এর আগে বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিকবার ঢাকা সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সর্বশেষ গত মে মাসে ঢাকা সফর করেছিলেন ডোনাল্ড লু। ওই সফর সম্পর্কে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। ডোনাল্ড লু এর ঢাকা সফরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে তোলা, কর্মশক্তি বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতার উন্নতি, জলবায়ু সংকট মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমাদের মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের যৌথ অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করেছে।