দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বর্ষা মৌসুমের শেষে এসে চারদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৩৪৬ জন ভর্তি হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়। এই নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৮৪১ জন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩৩৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮০ জন আর দেশের অন্য বিভাগে বাকি ৫৫৩ জন ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ নারী ও ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ। এ সময় ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতাল।
২০০০ সালে দেশে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। ব্যতিক্রম ছিল ২০২০ সাল। ওই বছর করোনা মহামারি দেখা দেয়। দেশে ডেঙ্গু রোগী ছিল কম, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু ছিল না। করোনা মহামারি শেষ না হতেই ২০২১ সাল থেকে আবার ডেঙ্গু বাড়তে থাকে।
করোনা মহামারি শুরুর পরের বছর ২০২১ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে মারা যান ১০৫ জন। মৃতের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৭। পরের বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যু হার। ২০২২ সালে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৪৫।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুর সব রেকর্ড ভেঙে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যুহার বেড়ে হয় শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।