দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: তার এ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ, কর ব্যবস্থা এবং অভিবাসন নীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। চার বছর আগে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর তার এ ফিরে আসা যুক্তরাষ্ট্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এডিসন রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (৬ নভেম্বর) ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টির বেশি ইলেক্টোরাল ভোট অর্জন করেছেন।
উইসকনসিনের সুইং স্টেটে জয়ের পর ট্রাম্পের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়। বুধবার সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট) পর্যন্ত ট্রাম্প ২৭৯টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন, যেখানে হ্যারিসের ভোট ২২৩। এখনও বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট গণনা চলছে।
জনপ্রিয় ভোটেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় ৫০ লাখ ভোটে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ফ্লোরিডার পাম বিচ কাউন্টি কনভেনশন সেন্টারে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের একটি দৃঢ় এবং অভূতপূর্ব ম্যান্ডেট দিয়েছে।’
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পূর্বে ওয়েস্ট পাম বিচে নির্বাচনি পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে ভাষণে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন রিপাবলিকান ট্রাম্প।
ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি আমেরিকার মানুষের জন্য একটি অসাধারণ বিজয়, যা আমাদের আবার আমেরিকাকে মহান করতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, আমি সীমান্ত বন্ধ করতে যাচ্ছি এবং আমাদের দেশের সবকিছু ঠিক করতে যাচ্ছি।
ট্রাম্পের রানিং মেট, সিনেটর জেডি ভ্যান্স সমর্থকদের সামনে বলেন, ‘আমরা আজকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পুনরুত্থান দেখলাম। ০২০ সালের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালানোর পর মনে করা হয়েছিল, ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবন প্রায় শেষ। তবে তিনি রিপাবলিকান পার্টির ভেতরে নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন।
ট্রাম্প তার প্রচারণায় বারবার দাবি করেছিলেন, ‘অবৈধ অভিবাসনের কারণে দেশে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে,’ যদিও এর পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (হ্যারিসের সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) সমর্থকেরা জড়ো হলেও কমলা হ্যারিস তাদের উদ্দেশে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য রাখেননি। তার প্রচারণা ক্যাম্পেইনের সহ-সভাপতি সেড্রিক রিচমন্ড মধ্যরাতের পর সমর্থকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এবং জানান, হ্যারিস পরে বক্তব্য দেবেন।
এখনো ভোট গণনা বাকি আছে,’ সে সময় বলেছিলেন রিচমন্ড। সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর নিয়ন্ত্রণে কোনো দলই এখনও পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।