দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর কন্যা এশা দেওল। ব্যক্তিগত জীবনে ভারত তাখতানির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেত্রী। বেশ কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন উঠেছিলো ভেঙে যাচ্ছে এশা-ভারতের ১২ বছরের সংসার। বিষয়টি নিয়ে বলিপাড়ায় নানা ফিসফাস হলেও নীরব ছিলেন তারা।
এবার বিবাহবিচ্ছেদের খবরটি নিশ্চিত করেছেন এই দম্পতি। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ দম্পতি লিখেছেন ‘আমরা যৌথভাবে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জীবনের এই পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার পাবে আমাদের দুই সন্তান। আমাদের প্রাইভেসি রক্ষা করলে সম্মানিত বোধ করব।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিট থেকে এশা দেওল ও ভারতের বিয়েবিচ্ছেদের গুঞ্জন চাউর হয়। সংসার ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করে নেটিজেনরা দাবি করেছিলেন, ভারত অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে এশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তবে কী কারণে সংসার ভেঙে গেলো, তার কোনো ব্যাখ্যা বিবৃতিতে দেননি এই দম্পতি। এশা ও ভারত তাখতানি দুজনেই ছোটবেলার বন্ধু।
যদিও দুজনের ক্যারিয়ার আলাদা। ভারত তার বাবার পথ ধরে ব্যবসা করছেন। এশা তো বলিউডে পুরোদস্তুর নায়িকা। স্কুলবন্ধুর সঙ্গে অনেক দিনই দেখা-সাক্ষাৎ ছিল না এশার। ‘টেল মি ও খুদা’ সিনেমা তৈরির সময় দেখা হয় পুরোনো এ দুই বন্ধুর।
এরপর প্রেম, বিয়ে। ২০১২ সালের ২৯ জুন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। এ দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০২ সালে ‘কই মেরে দিল সে পুছে’ চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এশা দেওল। এরপর একে একে ‘ধুম’, ‘না তুম জানো না হাম’, ‘কাল’, ‘নো এন্ট্রি, ‘ইনসান’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০১২ সালে ভারত তখতানিকে বিয়ে করেন এশা দেওল। সংসার জীবনে পদার্পণ করে হঠাৎ করেই মিডিয়ার আড়ালে চলে যান ধর্মেন্দ্র কন্যা। দীর্ঘদিন পর গত বছর ‘মেইন’ নামক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আবারও প্রত্যাবর্তন করেছেন এই অভিনেত্রী।