দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন টালিউডের জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা চাঁদু চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর। জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চাঁদু। রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
চন্দ্রলাল চৌধুরী আসল নাম হলেও তার ডাক নাম ছিল চাঁদু। চাঁদু চৌধুরী নামেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। অঞ্জন চৌধুরীর সব সিনেমায় কমেডিয়ান রূপে দেখা মেলে তার। অবশ্য চাঁদু নামেও আজকাল তাকে অনেকে চেনেন না, কিন্তু তার মুখটা সবার চেনা। তার মুখ দেখলেই দর্শকদের মনে পড়ে যায় ‘পূজা’ সিনেমায় পূজা রিনা চৌধুরীর জন্য পেয়ারা আনার দৃশ্য কিংবা ‘নাচ নাগিনী নাচ রে’ সিনেমায় চুমকি চৌধুরীকে দিয়ে তার পা টেপানোর মজার দৃশ্য।
অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন চাঁদু চৌধুরী। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো—ইন্দ্রজিৎ, মেজো বউ, নাচ নাগিনী নাচ রে, আপন পর, শ্রদ্ধাঞ্জলি, চৌধুরী পরিবার, সংঘর্ষ, জীবন নিয়ে খেলা, গীত-সংগীত, আমার বধূয়া, সেজ বউ, মুখ্যমন্ত্রী, পূজা, শ্রীমান ভূতনাথ প্রভৃতি। অঞ্জন চৌধুরীর জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘মামা ভাগ্নে’ ও ‘এরাও শত্রু’-তেও অভিনয় করেছিলেন। তা ছাড়াও দূরদর্শনের সিরিয়াল পৌষ ফাগুনের পালা, আলেয়া, মানিক, রঙ্গরসেও দেখা যায় তাকে।
চাঁদু চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- মেজো বউ, সেজ বউ, নাচ নাগিনী নাচ রে, আপন পর, শ্রদ্ধাঞ্জলি, চৌধুরী পরিবার, সংঘর্ষ, জীবন নিয়ে খেলা, গীত-সংগীত, আমার বধূয়া, মুখ্যমন্ত্রী, পূজা, শ্রীমান ভূতনাথ প্রভৃতি।
পরিচালক নারায়ণ রায় চৌধুরীর কন্যা মৌমিতা চৌধুরীকে পুত্রবধূ করেছেন চাঁদু চৌধুরী। মূলত, বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই নারায়ণ-চাঁদুর বেয়াই হওয়া। পুত্রবধূ মৌমিতা চৌধুরী ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন—‘বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি এসে কোনোদিন মনে হয়নি পরের বাড়ি এসেছি। নিজের বাড়ি মনে হয়েছে। আমি বাড়ির বউ হলেও সবরকমের পোশাক পরার স্বাধীনতা পেয়েছি। কোনোদিন বাপি ও মামি বিরোধিতা করেননি। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না এই আচমকা চলে যাওয়া।’