দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি গায়ক ডেভিড ক্রসবি মারা গেছেন। বার্ধক্যজনতি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডেভিড ক্রসবির পরিবার। সিএনএন এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে— ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর আমাদের প্রিয় ডেভিড ক্রসবি মারা গেছে।’ ডেভিডের পরিবারের মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ‘তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার মানবিক ও দয়ালু আত্মা আমাদের পথ দেখাবে, অনুপ্রেরণা জুগাবে। তিনি বেঁচে থাকবেন তার গানে গানে।’ ডেভিড একাধারে গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট ছিলেন। ষাটের দশকের আলোচিত দুই ব্যান্ড ‘দ্য বার্ডস’ ও ‘ক্রসবি, স্টিলস অ্যান্ড ন্যাশ’–এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি।
প্রায় সাত দশকের ক্যারিয়ারে ব্যান্ডের পাশাপাশি একক গানও প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে আলোচিত ‘এইট মাইলস হাই’, ‘উডেন শিপস’, ‘অলমোস্ট কাট মাই হেয়ার’–এর মতো গানের সহলেখক ছিলেন ডেভিড। ‘দ্য বার্ডস’ ও ‘ক্রসবি, স্টিলস অ্যান্ড ন্যাশ’-ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে এসব গান লিখেছিলেন তিনি। ১৯৪১ সালের ১৪ আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেওয়া ক্রসবি ষাটের দশকে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান। ১৯৬৩ সালে রজার ম্যাকগুইন ও জেনে ক্লার্কের সঙ্গে ‘দ্য বার্ডস’ গঠন করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে সেরা নতুন শিল্পী হিসেবে গ্র্যামির মনোনয়ন পেয়েছিল ব্যান্ডটি। ১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যান্ডের গান ‘টার্ন! টার্ন! টার্ন!’ বেশ আলোচিত হয়েছিল।
জীবনের এক পর্যায়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন ডেভিড ক্রসবি। ১৯৯৬ সালে মাস পাঁচেক কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। শরীরে নানা রোগ দানা বাঁধতে থাকে। কারাগারে যাওয়ার আগেই তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে হয়েছিল; সঙ্গে হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে জান ড্যান্সকে বিয়ে করেন ডেভিড ক্রসবি। ১৯৮৭ সালে তাদের বিয়ে হয়। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।