নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট ও সুনামগঞ্জে কয়েক দিন ধরে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দুই জেলার আরও অনেক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এতে এ দুই জেলায় বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দুই দিনের বৃষ্টিপাতে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল সিলেটের দুটি উপজেলায় নতুন করে অন্তত ১১টি রাস্তা পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার বানভাসি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- মাঝখানে কয়েক দিন বৃষ্টি বন্ধ থাকলেও দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় সিলেট জেলার বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার অনেক এলাকায় পানি বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে- নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় পানি সামান্য বেড়েছে। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় মানুষজনও দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের গিয়ে দেখা গেছে- গত দুই দিনের বৃষ্টিতে আবারও পানি বাড়ছে। নতুন করে উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি গ্রামেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার খবর জানা গেছে- উপজেলার পিয়াইন, সারি, গোয়াইন ও ডাউকি নদ নদীর পানি বেড়েছে। এর প্রভাবে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। গতকাল সারি গোয়াইনঘাট সড়কের তিনটি অংশ উপচে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত জেলার ৪৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৭ হাজার ১৭৬ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। তিনি বলেন- জেলায় বন্যায় ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩।
সুনামগঞ্জে বুধবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টি ছিল গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নামায় সুনামগঞ্জে গতকাল আবারও নদ নদী ও হাওরে পানি বেড়েছে। জানা গেছে- গতকাল সকাল নয়টার দিকে সুনামগঞ্জ শহরের কাছে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও দুপুরে ছাতক উপজেলা শহরের কাছে এ নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। আরো জানা গেছে- পানি বাড়ছে গ্রামাঞ্চলেও।