1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : বাংলাদেশে গম সহ আরও পণ্যের দাম বেড়েছে... - DeshBideshNews
November 24, 2024, 4:50 am
 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : বাংলাদেশে গম সহ আরও পণ্যের দাম বেড়েছে…

  • Update Time : Monday, March 7, 2022
  • 314 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করে বাংলাদেশে গমের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করা হয়। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর এ দুই দেশ থেকে গম আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

শুধু গম নয়- রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের আরও কিছু পণ্যের সরবরাহ ও দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে উদ্বিগ্ন ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা। কারণ, রডের কাঁচামাল পুরোনো লোহার একটি বড় উৎস ইউক্রেন। সেখানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রডের দাম প্রতি টনে পাঁচ হাজার টাকা বেড়েছে।

রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায়। এরপর পশ্চিমাদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক লেনদেনব্যবস্থা সুইফটের মাধ্যমে রাশিয়ার ১২টি ও বেলারুশের ২টি ব্যাংকের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা কার্যকর হবে ১২ মার্চ। আবার ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ পরিবহন সেবাদানকারী শিপিং লাইনগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য আনা নেওয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আর যুদ্ধের কারণে অনেক বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ইউক্রেন থেকেও পণ্য আসছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে- রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল গম। এ ছাড়া মটর ডাল, সরিষা, পুরোনো লোহার টুকরা, সয়াবিন দানা ও রাসায়নিক আমদানি হয় দেশটি থেকে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যে দেখা যায়- গত অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার টন গম আমদানি হয়। এর ২৬ শতাংশ এসেছে রাশিয়া থেকে। ইউক্রেন থেকে এসেছে ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া গমের ৪১ শতাংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।

আমদানিকারকেরা জানান- সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ডসহ তৃতীয় দেশে ঋণপত্র খুলে রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় তৃতীয় দেশগুলোর সরবরাহকারীরা জটিলতা এড়াতে ঋণপত্র (এলসি) নিচ্ছে না। যেসব ঋণপত্র নেওয়া হয়েছে এবং পণ্য জাহাজীকরণের অপেক্ষায় ছিল, সেগুলোও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

মটর ডালের বেশি ব্যবহার হয় পবিত্র রমজান মাসে। গত অর্থবছর দেশে সমুদ্রপথে ছয় লাখ টনের কিছু বেশি মটর ডাল আমদানি হয়। এর ১৩ শতাংশ এসেছিল রাশিয়া থেকে। ইউক্রেন থেকে আমদানি হয় ২ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে সয়াবিন সরবরাহকারী শীর্ষ ১০টি দেশের দুটি ইউক্রেন ও রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর সয়াবিনের বিশ্ববাজারেও প্রভাব পড়েছে। সিবিওটি বলছে- চার দিনে সয়াবিন বীজের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ। যদিও বাজার আগে থেকেই আকাশছোঁয়া ছিল।

শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল আমদানিকারক টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার বলেন- করোনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে দাম বাড়তি ছিল। এর মধ্যে যুদ্ধের পর রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে সরবরাহ বন্ধের চাপ পড়েছে বিশ্ববাজারে।

স্ক্র্যাপ বা পুরোনো লোহার টুকরার দাম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ছিল প্রতি টন ৫৭০ ডলার। গতকাল রোববার বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫০ ডলারে। দেশের বাজারে গত ১০ দিনে রডের দাম প্রতি টনে ৫ হাজার টাকা বেড়ে ৮৩ থেকে ৮৫ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ