মোঃ মুসা, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলা’র বড়লেখা উপজেলা’র ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন’র বিরুদ্ধে বড়লাখা উপজেলা’র দাসের বাজার ইউনিয়ন’র গ্রামবাসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানান অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে।
১৪ মে মৌলভীবাজারের দাসের বাজার ইউনিয়ন’র মুক্তিযোদ্ধাদের অফিসে বসে এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা নুর উদ্দিন’র বিরুদ্ধে নানান অপকর্মের কথা তুলে ধরেন।
এসময়ে দাসের বাজার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মনির উদ্দিন বলেন- নুর উদ্দিন’র পরিবার ৭১ এর সময় রাজাকারের দালাল ছিলো। সে কোনদিন মুক্তিযোদ্ধা ছিলোনা। নুর উদ্দিন ঐ এলাকার নিরীহ লোকদের সাথে সব সময় ঝগড়াঝাটি করার সুযোগ খোঁজে, সে বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে বেড়ায়, তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে করেনা।
তিনি আরো বলেন- মৌলভীবাজার জেলা’র বড়লেখা উপজেলা’র দাসের বাজার ইউনিয়নে মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩১ জন, এরি মধ্যে জীবিত ২৩ জন, মৃত ০৮ জন। কোথাও নুর উদ্দিন বা তার পরিবারের কোন সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা বলে নাম নেই, তারা ৭১ এর দেশদ্রোহী রাজাকার পরিবারের লোক।
দাসের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি দীবারঞ্জন দাশ বলেন- নুর উদ্দিন খুব চালাক চতুর দুষ্ট স্বভাবের লোক। অন্যের জমি দখল করা-অন্যের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করা তার নেশা ও পেশা! নুর উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধা ছিলোনা, সে রাজাকার পরিবারের সন্তান, তিনি সরকার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন- এরকম ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা পরিচয়ধারীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিয়ানীবাজার লাউটা ইউনিয়নের গজার হাইন গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা করামত আলী, মুক্তিযোদ্ধা যতিন্র বিশ্বাস, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহমেদ লুলু’র সন্তান কামাল হোসেন, নুর উদ্দিন’র নির্যাতনে স্বীকার ভুক্তভোগী রসেন্ড্র চন্দ্র দাস, দ্বিলিপ কুমার দাস- প্রমূখ।
এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা জানান- নুর উদ্দিন এলাকায় খুব প্রভাব খাটিয়ে চলে, সে কারো তোয়াক্কা করেনা, সে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে বেড়ায়, গরীব অসহায় লোকদের উপর জুলুম অত্যাচার করে, তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস করেনা।
অনুসন্ধানে জানা যায়- নুর উদ্দিন ৮ মে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন,এবং অভিযোগে উল্লেখ করেন মোঃ নুর উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা, পিতা মৃত তাহের আলী।
অভিযোগ পত্র এলাকার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নজরে পড়লে তখন মুক্তিযোদ্ধারা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী প্রশাসনের কাছে এর শাস্তির তার দাবী জানান।
নুর উদ্দিনের সাথে এব্যাপারে কথা বললে তিনি তার ভুল স্বীকার করেন এবং বলেন- মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া আমার ভুল হয়েছে। বড়লেখা থানায় অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা বলে উল্লেখ্য করা হয় সেটা ও স্বীকার করেন তিনি।