দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গর্বের সাত বীরশ্রেষ্ঠ’র একজন। মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গণের এই সাহসী সন্তানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। তার জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে। বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মা জেন্নাতুন্নেছা। তিনি শৈশবেই বাবা ও মাকে হারান।
অবশ্য মহিষখোলা গ্রামের নাম পাল্টে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ ‘নূর মোহাম্মদ নগর’ নামকরণ হয়েছে। এখানে বীরশ্রেষ্ঠ’র স্মরণে গড়ে উঠেছে- ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’, ‘স্মৃতিস্তম্ভ’, ‘স্কুল এবং কলেজ’ এবং নড়াইল শহরে ‘স্টেডিয়াম’। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো বিস্তারে এবং খেলাধূলা চর্চার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে এসব প্রতিষ্ঠান।
নূর মোহাম্মদ শেখ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন ২৬ ফেব্রুয়ারি (১৯৫৯ )। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরে ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ চলাকালীন যশোরের কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। এ সময় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এসএ মঞ্জুর। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটিতে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। যশোরের কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও চন্ডীবরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান ভূঁইয়া জানান,নূর মোহাম্মদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নূর মোহাম্মদ নগর ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে কোরআনখানি, নূর মোহাম্মদ শেখ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গার্ড অব অনার প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।