দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম জোনে মালয়েশিয়া থেকে আসা এক যাত্রীকে চড় দিয়েছিলেন ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল রানা। সন্দেহের বশে এই যাত্রীকে তল্লাশি করলেও কোনো কিছুই পায়নি কাস্টমস। শুরুতে এই ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করলেও জানাজানি হলে চাপে পড়ে ঢাকা কাস্টম হাউস। পরে সেই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনা ছাড়াও সম্প্রতি যাত্রীদের সঙ্গে ‘খারাপ আচরণের’ এমন অভিযোগ প্রায়শই পাওয়া যায়। এর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। এবার যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও সেবার মানোন্নয়নে বিমানবন্দরকর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গতকাল বুধবার সিভিল অ্যাভিয়েশন একাডেমির সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কোর্সের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। যাত্রীদের আকাশপথে নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এই কোর্স চালু করা হয়েছে বলে জানান সিভিল অ্যাভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দরে কর্মরত ৫৬টি সংস্থার ১৫০০ জন সদস্যের জন্য এই কোর্স ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে। বেবিচকের পৃষ্ঠপোষকতায় অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে এই কোর্স সম্পাদিত হলে বিমানবন্দরের যাত্রীসেবায় অনেক পরিবর্তন আসবে বলে জানান তিনি। উদ্বোধনী বক্তব্যে বেবিচকের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এবং বিমানবন্দরগুলোর দীর্ঘদিনের যাত্রী হয়রানি বন্ধে এই কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি সংস্থার সদস্যদের জন্য এই কোর্স পরিচালনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
যাত্রীদের আকাশপথে নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ কোর্স চালু করা হয়েছে বলে জানান সিভিল অ্যাভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। সিভিল অ্যাভিয়েশন একাডেমির তথ্য বলছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৩২টি বিমান সংস্থায় কর্মরত সব সদস্যকে পর্যায়ক্রমে এই কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম কোর্সে কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, এপিবিএন, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য, জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা, এভসেক, বাংলাদেশ বিমানসহ বিদেশি বিমান সংস্থার মোট ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।