দেশ বিদেশ নিউজ : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দশ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি। বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করে ঢাকায় মহাসমাবেশ করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে…।
৫সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে দলটির যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠকে এসব কর্মসূচির বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়। পরে রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে তৃণমূলকে আরও চাঙা রাখতে শীর্ষ নেতাদের এলাকায় অবস্থান নিশ্চিত করতে চায় দলটি। এজন্য ঢাকায় অবস্থানরত তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তৃণমূলের থানা, উপজেলা, পৌর-ইউনিয়ন পর্যায়ে চলমান কর্মসূচি শেষ হবে আগামী শনিবার। এসব কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। তবে কয়েকটি জেলায় নতুন করে মামলার কারণে শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা। এ নিয়ে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দলটির হাইকমান্ড।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন- আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলতেই থাকবে। ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচি আছে। এরপর আবার নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। এই আন্দোলন চলবে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত।
সূত্রে জানা গেছে- ওই বৈঠকে তৃণমূলের চলমান আন্দোলন নিয়ে সফলতা ও ব্যর্থতা দুটিই তুলে ধরেন নেতারা। তবে সফলতা বেশি জানিয়ে তারা বলেন- কর্মসূচিতে সারাদেশে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এ কর্মসূচিতে স্থানীয় পর্যায়ে বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও উজ্জীবিত করেছে।
স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন- সারাদেশে কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্দেশনা অনুযায়ী স্ব স্ব এলাকার কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যরা প্রতিটি বিক্ষোভ সমাবেশে থাকার চেষ্টা করেছেন। যে কারণে এসব কর্মসূচিতে তাদের পেয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। একটি আসনে স্বাভাবিকভাবে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চান। তারা এবার সব দ্বন্দ্ব-ভেদাভেদ ভুলে এক মঞ্চে কর্মসূচি পালন করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে শক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলা যায়। একই সঙ্গে আন্দোলনের একটি মাঠ তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।