দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি দেশটির জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় তিনি বলেন, ছয় বছর আমি এখানে ছিলাম। বন্ধুত্বের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান সম্ভব।
চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু এবং আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরকে সহযোগিতা করে চলছে। শেখ হাসিনা আজ আরো কিছু সময় পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছেন। নয়া দিল্লির হায়দারাবাদ হাউসে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি এই বৈঠক অন্তত ফলপ্রসু হবে।
তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করা এবং জনগণের চাহিদা পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য। অর্থনীতি ও দারিদ্র্য বিমোচনে আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। এতে শুধু আমাদের দুই দেশ নয়, পুরো অঞ্চল উপকৃত হবে।
হিন্দি ও বাংলা ভাষায় কথা বলার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের জন্যও ধন্যবাদ জানান।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর ভারতীয় নেতৃবৃন্দ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পরিচয় করিয়ে দেন মোদি।
সোমবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর পরপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এসময় তারা বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহও পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা।