দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমরা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং জাতির পিতার খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির কাছে অনুরোধ করছি।
শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির একটি হোটেলে আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতাকর্মী ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু সংস্থা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছে এবং দুই ভারতীয়র নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা (নিখোঁজের শিকার) দিয়েছে। কিন্তু তাদের এখন বিএনপির মিছিলে দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
‘আমাদের দ্বারা নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার জন্য কিছু লোক প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যা খুশি বলছে। ‘ তিনি তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। তিনি বলেন, কিছু বাংলাদেশি, যারা বিভিন্ন অপরাধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের স্বজনরা রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের দ্বারা সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চলেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন। কিন্তু আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ’ তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় আঞ্চলিক ও স্থানীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।