নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়া উপজেলার নিংগইন এলাকায় আজ ৯ মে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে সোহেল আহমেদ ওরফে জীবন (৩৬) নামের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহত সোহেল বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুরন্ত সংবাদের সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও সিংড়ার শেরকোল আগপাড়া বন্দর উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় নলডাঙ্গার ইউএনও স্ত্রী ও সিংড়া গোল ই আটরোজ সরকারি কলেজের প্রভাষক মানসী দত্ত ওরফে মৌমিতাকে বহনকারী জিপ গাড়িটি (নাটোর ঘ-১১-০০৩২) নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক হয়ে সিংড়ার দিকে আসছিল। উপজেলার নিংগইন এলাকায় গাড়িটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। মোটরসাইকেলটি গাড়ির নিচে ঢুকে যায়। এতে মোটরসাইকেলের চালক সোহেল আহমেদ গুরুতর আহত হন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে মানসী দত্ত অন্য একটি গাড়িতে চলে যান।
খবর পেয়ে সিংড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আহত সোহেলকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রামেক হাসপাতালে পৌঁছানোর পর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত সোহেল সিংড়া পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া মহল্লার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। শহরের ফ্রেন্ডস কম্পিউটার অ্যান্ড স্টেশনারি নামে তাঁর একটি দোকান রয়েছে।
নলডাঙ্গার ইউএনও সুখময় সরকার দাবি করেন- তাঁর স্ত্রী সিংড়া সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন সত্য। তবে দুর্ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী ওই গাড়িতে ছিলেন না। নলডাঙ্গা এলাকায় জ্বালানি তেলের সংকট ছিল বলে তিনি সিংড়ার একটি পেট্রলপাম্প থেকে তেল আনতে পাঠিয়েছিলেন।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন- দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।