নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য হাতে পেয়েও মন খারাপ এপ মহিলা’র। জানতে চাইলে ক্ষোভে মহিলা বললেন- পাঁচ কেজি পেঁয়াজের এক কেজিই নষ্ট। নষ্ট পণ্য কেন বিক্রি করছে! সাংবাদিক সাহেব- বলুনতো নষ্ট পেয়াজ কেনো বিক্রি করছে টিসিবি? আমি কোনো উত্তর দিতে পারিনি ?
ঢাকা’র রামপুরা বাজারের পাশে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ট্রাক থেকে সোমবারে উপরোক্ত মহিলার মতো যাঁরাই পণ্য কিনেছেন- তাঁদের প্রায় সবাই পেঁয়াজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন- অন্য পণ্যের মান ভালো হলেও পেঁয়াজের মান খুব খারাপ।
টিসিবির পরিবেশক মেসার্স এস এস এন্টারপ্রাইজ। পরিবেশক সাইফুল ইসলাম বলেন- সরকার যে পণ্য দেয়, তা-ই তাঁরা বিক্রি করেন।
কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির ট্রাক থেকে বিক্রি করা পেঁয়াজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন ক্রেতারা। রামপুরার মতো জিগাতলা এলাকায়ও গতকাল টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ ক্রেতা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন- পচা পেঁয়াজ ফেলে দিয়ে ভালোটা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার জন্য পরিবেশকদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এর জন্য প্রত্যেক পরিবেশককে বাড়তি পেঁয়াজ দেওয়া হয়। ভর্তুকিও দেওয়া হয়। কোনো পরিবেশক যদি এ নির্দেশনা না মানে, এর প্রমাণ পেলে ওই পরিবেশকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হুমায়ুন কবির আরো বলেন- এখন টিসিবি গুদামে প্রায় ২০০ টন পেঁয়াজ মজুত আছে। আমদানির প্রক্রিয়ায় আছে আরও প্রায় ৮০০ টন।
সোমবার ( ২৮ মার্চ) দুপুরে রামপুরায় টিসিবির ট্রাক এসে পৌঁছায় বেলা দুইটার দিকে। আধা ঘণ্টার মধ্যে ট্রাককে ঘিরে লাইনে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে নারীদের লাইনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। লাইনে দাঁড়ানো বেশিরভাগ মহিলারা বলেন- একজন লাইনে দাঁড়িয়ে আরও কয়েকজনের জন্য জায়গা রেখে দেন। অথচ অন্যরা আগে এসেও লাইনের সামনের দিকে জায়গা পান না। কোনো শৃঙ্খলা থাকে না।
সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকেও রাজধানীর জিগাতলায় টিসিবির লাইনে পণ্য কেনার অপেক্ষায় ছিলেন অন্তত ১০০ জন। হঠাৎ শুরু হলো বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস। বৃষ্টিতে ভিজেও লাইন ছেড়ে যাননি তাঁরা। বৃষ্টিতে ভিজেই তাঁরা পণ্য কিনছেন।