দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি বিবেচনা করে তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করবো। রোববার (১৫ জানুয়ারি) ধানমণ্ডির ঢাকা আহছানিয়া মিশন মিলনায়তনে ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তামাক চাষের বিকল্প কৃষি পণ্য চাষের জন্য তামাক চাষীদের প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ তামাক চাষ বন্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী ঘোষণা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনী পাসে মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবসায়ীরা যেন অবৈধভাবে বৃক্ষনিধন না করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। ধূমপানের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে রক্ষায় সবাইকে আরো সক্রিয় হতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমানম ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ প্রমুখ।