নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা’র বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লার বেশির ভাগ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পাড়ার দোকানিরা বলছেন- ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণন করা কোম্পানিগুলোর পরিবেশকেরা অর্ডার (সরবরাহ আদেশ) নিতে আসছেন না।
ঢাকা’র তেজকুনিপাড়ায় উড়ালসড়কের নিচে থাকা ছয়টি মুদিদোকানের একটিতেও বোতলজাত সয়াবিন তেল ছিল না। গতকাল সোমবার দুপুরে সেখানে যান ‘দেশ বিদেশ’ এর প্রতিবেদক।
দোকানিরা জানান- কোম্পানিগুলোর পরিবেশকের বিক্রয় প্রতিনিধিরা অর্ডার নিতে আসছেন না। তেল কিনতে প্রতিদিনই আশপাশের মানুষ দোকানে আসছে। তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। ওই ছয় দোকানির মধ্যে একজন গত শনিবার রাতে কারওয়ান বাজার থেকে বোতলজাত ৭২ লিটার তেল কিনে নিয়ে যান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যায়।
তবে ছয়টি দোকানের চারটিতে খোলা সয়াবিন তেল ছিল। সরকার খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তাঁরা ২২০ টাকায় বিক্রি করছেন। সেখানকার একটি দোকান চালান মনোয়ারা বেগম। দাম কেন বেশি রাখা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘বেশি অইলে নিয়েন না।’
ঢাকা’র বড় কাঁচাবাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম মহাখালী কাঁচাবাজার। এখানকার সাতটি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল আছে কি না, সে খোঁজ গতকাল বিকেলে নিয়েছিলেন এই প্রতিবেদক। এর মধ্যে ছয়টি দোকানেই তেল ছিল না।
মহাখালী কাঁচাবাজারের একজন দোকানি বলেন- মজুত করে রাখা ৫ লিটার তেলের বোতলের গায়ে লেখা থাকবে ৭৬০ টাকা। কিন্তু নতুন দামে পরিবেশকের কাছ থেকে কিনতে হবে ৯৪০ টাকায়। আর বিক্রি করতে হবে ৯৮৫ টাকা। লাভ থাকবে ৪৫ টাকা। মাত্র এই কয়েক টাকার জন্য ক্রেতাদের কাছ থেকে নানা কথা শুনতে হয়। আবার ম্যাজিস্ট্রেটের ভয় আছে। বাড়তি কিছু লাভের জন্য দেখা যাবে হাজার হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাই আপাতত তেল বেচা বন্ধ রেখেছেন তিনি। নতুন দামের তেলের সরবরাহ বাজারে বাড়ার পর বিক্রি করা যাবে। অবশ্য এই বাজারেরই কয়েকজন দোকানি মজুত করা তেল বাড়তি দামে বিক্রি করছে।