দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ছাত্রলীগকে কিভাবে অজনপ্রিয় করা যায় তার একটি চক্রান্ত চলছে। কারণ, আপনি যখন দুটি দলকে মুখোমুখি করবেন, ছাত্রলীগ যদি কাউকে বারি দেয় বা বারি খায় তখন এটি আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাবে, ছাত্রলীগকে আরো অজনপ্রিয় করার একটা প্রক্রিয়া চলছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগকে দাবি জানাব, আপনারা প্রকৃতপক্ষে যদি কাউকে প্রতিহত করেন, তাহলে যারা আন্দোলনের বাইরে থেকে এসে সরকারের ক্ষতি করতে চায়, রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায় তাদেরকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন। নিজেরা আইন তুলে নেবেন না।
প্রতিটা দল বা সংগঠনে সবসময় তো একই আদর্শের ওপর সব লোক থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ তারা আদর্শের ব্যত্যয় ঘটিয়ে হয়ত কেউ কেউ অতিরিক্ত আবেগ দেখাচ্ছে। এটি দেখাতে গিয়ে পুরো দলের বদনাম হচ্ছে। সাধারণ আন্দোলনকারীদের পক্ষে যদি কেউ ছাত্রলীগকে মারে বা অন্যকাউকে মারে তখন তাদেরও বদনাম হচ্ছে।
সংঘর্ষ-সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে কোনো সমাধান আসবে না বরং আমরা আরো পিছিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমরা সামনের দিকে আগাচ্ছি। আমাদের সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘একজন এমপি হিসেবে আপনাদের কাছে আমি দাবি জানাচ্ছি, অযথা সন্ত্রাস-আন্দোলনের দিকে গিয়ে ভাঙাভাঙির দিকে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের কোনো সমাধান হয় না।
ছাত্রলীগ এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গতকাল যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই পরিস্থিতি যেকোনোভাবে বন্ধ করতে হবে। গতকাল যারা আহত হয়েছে আমি সরকারের কাছে দাবি জানাব, সবাইকে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। ছাত্রলীগ কি মারধর করে ভুল করেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ যদি কোনো মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তবে এটা ছাত্রলীগের কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত না। এটা হচ্ছে অতি আবেগ, কিছু কিছু লোক হাইব্রিড থাকে তারা নিজেদেরকে প্রমাণ করার জন্য ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগিয়ে অন্যকে মারছে।
তারা কি বোঝে না আমি যখন একজনকে মারছি তখন এটা সারা বাংলাদেশে ভিডিও হচ্ছে। আমার দলের ক্ষতি হচ্ছে, এটা কি তারা বোঝে না? যারা বোঝে তারা কখনও মারবে না। আর যারা মারে এরা প্রকৃত ছাত্রলীগ না।
আন্দোলনকারীদের কোন আচরণের কারণে মনে হচ্ছে যে এই আন্দোলনটা সরকারের বিরোধিতার দিকে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন, ‘আন্দোলন যখন প্রথম হয়েছে যৌক্তিক সংস্কারের বিষয়ে আমরা নানা কথা শুনেছি তাদের এবং সরকারও যথেষ্ট পরিমাণ শোনার চেষ্টা করেছে। সরকার থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে এপিলেট ডিভিশনে নিয়ে আসা হয়েছে, যাতে এটির একটি যৌক্তিক সমাধান করা যায়। যখন থেকে রাজাকার স্লোগান দেবেন এটা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম বা আমরা যারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। জামায়াত-শিবির কিন্তু বসেই থাকে কিভাবে কোনো আন্দোলন থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়া যায়।’