1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
গঠনমূলক রাজনৈতিক পথ তরুণ প্রজন্মকে বেছে নিতে হবে : শেখ পরশ - DeshBideshNews
November 25, 2024, 2:00 am
 

গঠনমূলক রাজনৈতিক পথ তরুণ প্রজন্মকে বেছে নিতে হবে : শেখ পরশ

  • Update Time : Tuesday, March 22, 2022
  • 344 Time View

টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন- শুধু আবেগ নির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। নিজেকে জানতে হবে এবং আত্ম সমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব। ভুলে গেলে চলবে না, এদেশ সহজে স্বাধীন হয় নাই, বহু বাঙালির মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং একইসঙ্গে দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রতিহত করে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান ভিত্তিক, গঠনমূলক রাজনৈতিক পথ তরুণ প্রজন্মকে বেছে নিতে হবে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘টুঙ্গিপাড়া হৃদয়ে : পিতৃভূমি’ প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথাগলো বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, সম্মানিত অতিথি-আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, প্রধান আলোচক-প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি-ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন- শিশুকাল থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে আসছি আমার পরিবার থেকে। বিশেষ করে আমার দাদি-কাকাদের কাছ থেকে। দাদি গল্প করতো তার ভাই খোকার কথা। দাদির কণ্ঠে প্রবল গর্ববোধের সঙ্গে মিশ্রণ ছিল ভাই হারা শোকের মাতন। প্রতিবার টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে আমরা যখনই গিমাডাঙ্গা স্কুল মাঠ পার হতাম দাদি বলতেন খোকা এই স্কুলে পড়তো। আর সবসময় একই গল্প করতো, কিভাবে খোকা তার ছাতা, বই স্যান্ডেল ও গায়ের চাদর বিলিয়ে দিয়ে স্কুল থেকে ফিরে আসতো বহুবার। দাদিরা গর্বভরা কণ্ঠে এই কাহিনীগুলো শুনতে আমার মনে হত আমি যেন রূপকথার এক মহানায়কের গল্প শুনছি। আমার শিশু মনে প্রশ্ন জাগত, কিভাবে সম্ভব। কিভাবে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু হলেন? কিভাবে তিনি পারলেন আমাদের রূপকথার মহানায়ক হতে? কোথায় পেলেন তিনি তার মানবিকতা? তার চারিত্রিক দৃঢ়তা?

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন- বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের কাছে যে ওয়াদা করেন তিনি তা পূরণ করেন। আপনারা দেখেছেন গতকাল বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি আলোকিত দিন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম শতভাগ আয়ের দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, নাগরিক সুবিধাও বৃদ্ধি পেয়েছে। শেখ হাসিনা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজকে সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন- আমি যুবলীগের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। আমি এ কথা বলতে পারি যে, যুবলীগ এখন সঠিক পথেই আছে। যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই আমার প্রত্যাশা।

সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা-মাতা ভাইকে, আত্মীয়-স্বজনকে হারিয়ে এক বুক ব্যথা নিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। জামাত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বলতে চাই-আপনারা ঐক্যবদ্ধ থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ করবেন। তাহলে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার পাবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন–বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, অর্থ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ মো. নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহসম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, নাজমুল হুদা ওয়ারেছী চঞ্চল, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান খান শামীম, সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু, অ্যাড. কাজী মো. বসির উদ্দিন, মো. মেহেরুল হাসান সোহেল, রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জিনিয়ার মো. মোক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মো. ওলিদ হোমেন, অ্যাড. শেখ মো. তরিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম সাহাবুদ্দিন আযম, সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বি মোল্লা, খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. হাসিবুর রহমান রিজন সিকদার, এ এন এম ইমরুল হক, অ্যাড. মো. ইয়াসিন আরাফাত রামিম, মো. রিপন শেখ, এস এম আশরাফুল ইসলাম রতন, শেখ মো. রবিউল ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ