দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবার কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ জন্য আগের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি আয়কর দিতে হবে। আগে এই হার ছিল ১০ শতাংশ, এবার তা হচ্ছে ১৫ শতাংশ। এ প্রক্রিয়ায় টাকা বৈধ করলে সরকারের কোনো সংস্থা কোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইনে যা-ই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি কিংবা কম্পানি করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে এর যুক্তি হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে কার্যকর চাহিদা সৃষ্টি এবং সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশপাশি বেসরকারি খাতেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে হবে। ডাটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালুর পর বিভিন্ন কম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও পরিসম্পদ প্রদর্শনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
রিটার্ন দাখিলে করদাতার অজ্ঞতাসহ অনিবার্য কিছু কারণে অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নে এই ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দিয়ে অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে কালো টাকা বিনিয়োগে উৎস জানতে চাওয়া হবে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে প্রশ্নহীনভাবে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।