ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা’র মৌচাক থেকে রামপুরার বাস ভাড়া ছিল ১০ টাকা। কিন্তু শনিবার ভাড়া দিতে হয়েছে ১৫ টাকা। একইভাবে মধ্যবাড্ডা থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা। কিন্তু শনিবার দিতে হয়েছে ১৫ টাকা। অর্থাৎ দুই ক্ষেত্রেই ৫০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
শান্তিনগর থেকে নতুন বাজার-বসুন্ধরার ভাড়া আগে নেওয়া হতো ২০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
ধোলাইরপাড় থেকে মালিবাগের ভাড়া আগে নেওয়া হতো ১৫ টাকা। শনিবার নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। অর্থাৎ ৩৩.৩৩ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অথচ ঢাকা’তে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১৬.২৭ শতাংশ।
কিন্তু বাসের মালিক, কন্ডাক্টর, চালক বা হেলপাররা সে কথা শুনতে রাজি না। তাদের কথা- সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে, তাই বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। এমনকি তারা সরকার নির্ধারিত তালিকা দেখাতেও রাজি না। অবশ্য সরকার এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার কোনো তালিকাও করেনি।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে একাধিক যাত্রী বলেন- কার কাছে অভিযোগ জানাব? ভাড়া যা চায় তাই দিতে হচ্ছে। না দিলে বাজে ব্যবহার করে, ঝগড়া করা শুরু করে দেয়।
ঘোষণায় বলা হয়- নগর-মহানগরে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে ৩৫ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
গশুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই সরকার জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন থেকে ডিজেলের দাম হবে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, যা এত দিন ৮০ টাকা ছিল। কেরোসিনের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম ডিজেলের সমান, অর্থাৎ ১১৪ টাকা। অর্থাৎ ডিজেল ও কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি লিটারে দাম বাড়ল ৩৪ টাকা।