রাজশাহী প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ চুরি করলে ভবিষ্যতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে- তাহলে ডাকাতি করবে। তাই এ মুহূর্তে দেশে জাতীয় পার্টির সরকার দরকার।
আজ শনিবার রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টি’র এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। রাজশাহী মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক রাহাত হোসেন।
সভাটি সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য ও পবা-মোহনপুর আসনে সংসদ সদস্যপ্রার্থী আব্দুস সালাম খান।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন- তেলের দাম একটু আধটু বাড়াক। সরকার বাড়িয়েছে ৪১ থেকে ৫১ পার্সেন্ট। একটা পণ্য, বিশেষ করে তেলের দাম একসঙ্গে ৫১ পার্সেন্ট যে সরকার বৃদ্ধি করে, সেই সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার নয়, হতে পারে না। এই সরকার জনগণের বিরোধী সরকার। কারণ এক তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন- বিদ্যুতে কী করছে জানেন? সর্বনাশ করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ তৈরি করার জন্য সরকার রেন্টাল, কুইক রেন্টাল প্রজেক্ট করেছে। কিন্তু সরকার বিদ্যুৎ পরিচালনার জন্য লাইন করতে পারেনি। লাইন করলে তো বসে বসে টাকা পাওয়া যাবে না। সরকার লাইন করছে খুব আস্তে আস্তে। ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ সরকার কোম্পানিগুলোকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। জনগণের টাকা দিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন- এক মন্ত্রী কয় কী! কয়, আমরা নাকি বেহেশতে আছি! আরে কয় কী! বাংলাদেশের মানুষ তেল কিনতে পারে না, চাল, ডাল, ডিম কিনতে পারে না। চাকরি নাই, বেতন নাই, অভাব। বাংলাদেশে আগুন! আর মন্ত্রী বলে- আমরা বেহেশতে আছি। হ্যাঁ, বেহেশতে আছে আসলে, কথাটা মুখে আইস্যা গ্যাছে। কথাটা ঠিক। সেটা হলো- আওয়ামী লীগের লোকেরা তো বেহেশতেই আছে। তাদের তো কোনো অভাব নাই। ৮০ টাকার তেল ১২০ টাকা হইলেও উনাদের কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা জনগণের।
ইভিএম প্রসঙ্গে মহাসচিব চুন্নু বলেন- ১৫০ আসনে ইভিএম না দিয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের খুশি করেছে। আর ১৫০ আসনে ইভিএম দিয়ে আওয়ামী লীগকে খুশি করেছে। আমার প্রশ্ন হলো- সরকার গঠন করতে লাগে ১৫১ আসন। ইভিএমে ১৫১টা না দিয়ে ১১০টা দিত; ৮০টা দিত। নির্বাচন কমিশন উদ্দেশ্যমূলকভাবে অর্ধেক আসনে ইভিএম এবং অর্ধেক ব্যালটে দিয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, আলমগীর সিকদার লোটন, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী মহানগর আহয়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন ও জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিউর রহমান দোলন।