নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত হয়েছেন নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান। আজ দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে তুর্কি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের লাশ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা লাশ গ্রহণ করেন এবং বেলা ১টার দিকে হাদিসুরের লাশ নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন তাঁর স্বজনেরা।
হাদিসুরের লাশ দেশে আসার খবরে মা, বাবা ও আত্বীয় স্বজনদের আহাজারিতে হাদিসুরের গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হাদিসুরের মেজ ভাই তারিকুল ইসলাম বিলাপ করে বলেন- এবার যাওয়ার সময় আমি আমার ভাইকে আগায় দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আমি আর আমার ভাইকে আনতে পারলাম না।
নিহত হাদিসুরের চাচা ও বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন- আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জানাজা হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাদা দাদির কবরের পাশে হাদিসুরকে দাফন করা হবে। স্বজনেরা জানান- ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে হামলায় নিহত হন হাদিসুর রহমান। এরপর বন্দরের আশপাশ এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের সহায়তায় ৩ মার্চ জাহাজে থাকা ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে তাঁদের ইউক্রেনের বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। জাহাজটির ২৯ জন নাবিক ও প্রকৌশলীর মধ্যে ২৮ জন নিরাপদে দেশে ফিরলেও হাদিসুর’কে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।
উল্লেখ্য, হাদিসুর ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে নৌ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৮ সালে এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে হাসিদুর যোগ দেন।