যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম থেকে সোহেল আহমদ চৌধুরী : নব উদ্যমে নব প্রেরণায় হবিগঞ্জবাসীর কল্যাণে সমন্বিত ভাবে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়ে ৮ আগষ্ট সন্ধা ৬ ঘটিকা থেকে মধ্য রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের স্মলহীতের এমটি ক্যাটারিং-এ প্রবাসী হবিগঞ্জীদের আনন্দ আড্ডা’র আয়োজন করা হয়।
বৃটেনের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত হবিগঞ্জী বিভিন্ন বয়সের মানুষজন শত ব্যস্ততার মধ্যে মনের খোরাক জোগাতে নিজ এলাকার মানুষের সানিধ্যে সময় কাটানোর জন্য সবাই এসে সন্ধার আগে হাজির হন এমটি ক্যাটারিংয়ের এই আনন্দ আড্ডায়।
লন্ডন, লাখবরা, লেসস্টার নর্থামটন, কভেন্ট্রি, মানচেস্টার, ওল্ডহামে, স্টক অন ট্রেন্ট সহ বিভিন্ন শহর থেকে হবিগঞ্জী কমিউনিটি লিডার ও হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের হবিগঞ্জী আনন্দ আড্ডাতে এসে হাজির হন।
অল্প সময়ের মধ্যে এমটি ক্যাটারিং এর হল রুম হয়ে যায় এক টুকরো হবিগঞ্জ। সবাই খুব উৎফুল্ল মন খোলে ছোট বড় সবাই গল্প করেন অতীতের অনেক স্মৃতি রোমন্থন করেন। অনেকে দীর্ঘদিন পর পুরানো কাছের বন্ধুকে পেয়ে হারিয়ে যান অতীতের স্মৃতিময় দিনগুলোতে।
করোনা মহামারির ভয়াল থাবার কারনে নিজেদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা ও দীর্ঘ স্থবিরতাকে দুর করতে হবিগঞ্জ সোসাইটি ইউকের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুন্তাকিমের আয়োজনে হবিগঞ্জী আড্ডায় অংশ গ্রহন করেন- তফাজ্জল চৌধুরী, মীর গোলাম মোস্তফা, নাজমুল আজিজ জুবায়ের, সিরাজুল ইসলাম, ইউসুফ চৌধুরী, শমসেরবক্ত চৌধুরী, কবির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, এ রহমান ওলি, দিপু শেখ, রহমত আলী, হেলাল আহমদ, বাবুল চৌধুরী, রিয়াজ চৌধুরী, মাসুদ চৌধুরী, আব্দুল বাসেত চৌধুরী- প্রমুখ।
সন্ধা ৬ ঘটিকা থেকে নিজেদের মধ্যে বৃটেন ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন। কি ভাবে ইউকে থেকে সমন্বিত ভাবে হবিগঞ্জবাসির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করা যায়। সে ব্যাপারে প্রত্যেক এলাকা থেকে আগত সিনিয়ার কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা উনাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে নৈশ ভোজ ও মিস্টিমুখের মাধ্যমে আগামীতে দেখা হবে এই আশা রেখে আনন্দ আড্ডা’র সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।