দেশ বিদেশ ডেস্ক : হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে দুইশর বেশি রান করায় বেজায় চটেছিলেন বিসিবি সভাপতি। একদিনের ব্যবধানে সেই বোলাররা তাকে শান্ত করেন জিম্বাবুয়েকে ১৩৫ রানে আটকে রেখে। বাংলাদেশ পরবর্তীতে ম্যাচ জিতে যায় ৭ উইকেট হাতে রেখে। তিন ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
একই মাঠ, একই উইকেট। ২৪ ঘণ্টার আগে-পরে বোলারদের শক্তভাবে ফিরে আসার ঘটনা বিশ্ব ক্রিকেটে অহরহ। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এবার একটু ভিন্ন কিছু হয়েছে কারণ নায়ক একেবারেই অচেনা। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অফস্পিন পারেন। স্বীকৃত ক্রিকেটে তার ৫ উইকেটও আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ডানহাতি অফস্পিনার ৫ উইকেট পাবেন তা জিম্বাবুয়ের জন্য সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন!
জিম্বাবুয়ের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় মোসাদ্দেকের শুরুর স্পেলেই। টানা ৪ ওভার বোলিং করে মোসাদ্দেক ২০ রানে নেন ৫ উইকেট। প্রথম ওভারে চাকাভা ও মাধভেরেকে ফেরানোর পর পরপর তিন ওভারে তার শিকার ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস ও মিল্টন সুম্বা। হয়ে গেল ৫ উইকেট। ইলিয়াস সানী, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন এ স্পিনার।
৩১ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলেন আগের ম্যাচের নায়ক সিকান্দার রাজা এবং রায়ান বার্ল। ৬ষ্ঠ উইকেটে এই দুজন গড়েন ৬৫ বলে ৮০ রানের দারুণ জুটি। ৪৪ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম এবং টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন সিকান্দার রাজা। এই জুটির অবসান ঘটে হাসান মাহমুদের বলে ৩২ রান করা রায়ান বার্ল বোল্ড হলে। এরপ ৫৩ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৬২ রান করা রাজাকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। আজ মোসাদ্দেকের বোলিং ফিগার- ৪ ওভার, ২০ রান ৫ উইকেট। ১টি করে নিয়েছেন মুস্তাফিজ আর হাসান মাহমুদ।