দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : তিন বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠার সুযোগ আর্জেন্টিনার। মঙ্গলবার রাতে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে নামছে তারা। এই ম্যাচে সবার চোখ থাকবে লিওনেল মেসির দিকে। আর্জেন্টিনার ৯ গোলে ৬টিতে অবদান অধিনায়কের। দারুণ ফর্মে থাকা ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে এই ম্যাচে চারটি রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মেসি তিনটি বিশ্বকাপ ম্যাচে একই সঙ্গে গোল করেছেন ও করিয়েছেন। কাতারে নেদারল্যান্ডস ও মেক্সিকোর বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তিনি। এর আগে ২০০৬ সালে সার্বিয়া-মন্টেনিগ্রোর বিপক্ষে ৬-০ গোলের জয়ে জাল কাঁপান এবং অ্যাসিস্ট করেন মেসি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল ও অ্যাসিস্ট করলে এই ফরোয়ার্ড প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে চারটি ভিন্ন ম্যাচে এই কীর্তি গড়বেন।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে মেসি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার যৌথ শীর্ষ গোলদাতা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার পাশে নাম লেখেন। বিশ্বমঞ্চে দুজনেরই গোল ১০টি। আর একটি গোল করলেই আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসবেন এলএমটেন। বাতিস্তুতার বিশ্বকাপ রেকর্ড ছোঁয়ার আগে মেসি ছাড়িয়ে যান আর্জেন্টিনা আইকন ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে, যিনি আন্তর্জাতিক শীর্ষ প্রতিযোগিতায় ২১ ম্যাচ খেলে ৮ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট করেছেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করা আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যারাডোনা। কিন্তু মঙ্গলবার অন্তত এক গোল সতীর্থকে দিয়ে করালে বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে ছোঁবেন মেসি।
এরই মধ্যে বিশ্বকাপে অ্যাসিস্টের দুটি রেকর্ড ভেঙেছেন মেসি। মেক্সিকোর বিপক্ষে এনজো ফার্নান্দেজকে গোল বানিয়ে দেন তিনি, তাতে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাঁচটি আসরে অন্তত একটি অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়েন মেসি। এছাড়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মলিনাকে দিয়ে গোল করিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নকআউট রাউন্ডে পাঁচটি অ্যাসিস্টের মালিক হন মেসি, ছাড়িয়ে যান ব্রাজিল আইকন পেলেকে (৫)। চতুর্থ আরেকটি রেকর্ড ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মেসি গড়তে পারেন। পাঁচটি বিশ্বকাপে ২৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মঙ্গলবার মাঠে নামলেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে সাবেক জার্মান মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথাউসের পাশে বসবেন মেসি। আর যদি ফাইনালে ওঠেন, তাহলে এই রেকর্ড একার করে নিবেন ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলা এই ফরোয়ার্ড।