দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করা কিলিয়ান এমবাপের সম্ভাবনাও দেখছিলেন অনেকে। তাকে এবং আরেক ফরাসি তারকা করিম বেনজেমাকে টপকে ২০২২ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে প্যারিসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারটির বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। সপ্তমবারের মতো ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন তিনি। বিভিন্ন নামে ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দা ইয়ার’ নামের পুরস্কারটি একবার জেতেন মেসি, ২০০৯ সালে। সেই থেকে শুরু সেরার মঞ্চে এই মহাতারকার আধিপত্যের।
পরের ছয় বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে। এরপর বর্তমানের ‘দা বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, ২০১৯ সালের পর যা এবার আবারও জিতলেন তিনি। সেরার লড়াইয়ে ২০২১ সালে ৮ অগাস্ট থেকে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিবেচিত সময়ে ক্লাব ফুটবলে আহামরি কিছু যদিও করতে পারেননি মেসি। দীর্ঘ দিনের ঠিকানা বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর দলটির হয়ে প্রথম মৌসুম তার ভালো না কাটেনি। ২০২২-২৩ মৌসুমের শুরু থেকেই অবশ্য সেখানে আলো ছড়াতে শুরু করেন তিনি। একের পর এক করতে থাকেন গোল ও অ্যাসিস্ট।
তবে পুরুষ ফুটবল জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক, সাংবাদিক এবং ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে ফের ‘দা বেস্ট মেন’স প্লেয়ার’ হওয়ার পেছনে যে জাতীয় দলে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই মূল ভূমিকা রেখেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরও বিশেষ করে বললে, কাতার বিশ্বকাপে যে চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সে দেশকে বসিয়েছেন সেরার আসনে। বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর ম্যাচে গোলের দেখা পান মেসি। সৌদি আরবের বিপক্ষে যদিও ওই ম্যাচে অঘটনের শিকার হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা জাগে আর্জেন্টিনার। পরের সব ম্যাচ তাদের জন্য হয়ে ওঠে নকআউটের লড়াই।
সেই কোণঠাসা অবস্থা থেকেই মেসি ও আর্জেন্টিনার স্বপ্নের পথে যাত্রার শুরু। পরের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষেও অনেকটা সময় আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ সাদামাটা। দুর্দান্ত এক গোলে দলকে পথ দেখান মেসি। পুরো বিশ্বকাপে একমাত্র গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষেই জালের দেখা পাননি তিনি। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে করেন জোড়া গোল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ গোল ও সর্বোচ্চ ৩টি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারজিতে নেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা লিওনেল মেসি।