খেলাধুলা ডেস্ক : চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়নডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
এর আগে লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরির সুবাদে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলতে সমর্থ হয় টাইগাররা। লিটন ১২৬ বল খেলে ১৩৬ রান করেন। এটি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। তিনি ৯৩ বল খেলে এ রান করেন।
প্রথম ম্যাচের মতো অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি ২৪ বল খেলে ১২ রান করে ফজলহকের বলের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। তখন দলের রান ৩৮। এরপর দলীয় ৮৩ রানের সময় ৩৬ বল খেলে ২০ রান করে আউট হন।
দলীয় মাত্র ৯ রানের সময় রিয়াজ হাসান রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তাকে রান আউট করেন আফিফ হোসেন। তিনি ২ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন।
এরপর দলীয় ১৬ রানের মাথায় অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শাহিদী শরিফুলের বলে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন। তিনি ৩ বল খেলে ৫ রান করেন।
এরপর ৩৪ রানের সময় ৯ রান করে আজমাতুল্লাহ ওমরাইজও প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন। সাকিব আল হাসানের বলে স্ট্যাম্পিং আউট হন তিনি।
প্রথম তিনটি উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজিবউল্লাহ জাদরান ও ওপেনার রহমত শাহ। তারা দুইজন মিলে চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়ার পথে আগাতে থাকেন। দুজনে ৮৯ বল খেলে তারা ৯০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। কিন্ত অল্প সময়ের ব্যবধানে রহমত শাহকে ৫২ ও নাজিবুল্লাহকে ৫৪ রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তাসকিন আহমেদ। এরপর ব্যাট করতে নামা রহমতউল্লাহ গুরবাজকে ৭ রানে সাকিব আল হাসান বোল্ড আউট করে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেন।
তবে মাঝে মোহাম্মদ নবি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি ৩৮ বল খেলে ৩২ রান করার পর মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। নবির পাশাপাশি রশিদ খান রানের ব্যবধানটা কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বেশিদূর আগাতে পারেননি। দলীয় ২০৫ রানের সময় অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। রশিদ আউট হওয়ার আগে ২৬ বল খেলে ২৯ রান করেন।
পরের দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে মুজিব উর রহমানকে ৬ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফজলহক ফারুকিকে ০ রানে বোল্ড আউট করেন আফিফ হোসেন।