দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ঘন কুয়াশার কারণে ভারতের হুগলি নদীতে দুই বাংলাদেশি জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এই সংঘর্ষে একটি জাহাজ অক্ষত থাকলেও অন্যটি ডুবে যায়। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ডুবন্ত জাহাজটির ৯ সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি এলাকার হুগলি নদীর পয়লা নম্বর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজটির নাবিক ও স্থানীয়রা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে দৃশ্যমান্যতা অনেক কম ছিল।
জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতের উদ্দেশে যাওয়া একটি খালি জাহাজ ধাক্কা মারে ভারত থেকে ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই করে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করা অপর জাহাজে। পরে ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই জাহাজটি ডুবতে শুরু করলে সেটিকে ধীরে ধীরে তীরের দিকে আনতে থাকেন নাবিক। কিন্তু এত চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। ইতিমধ্যে জাহাজটির প্রায় ৯০ শতাংশ ডুবে গেছে। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাহাজটির সকল সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ডুবে যাওয়া জাহাজের কর্মী পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বাঁ দিক থেকে এসে জাহাজটি আমাদের ধাক্কা মেরেছে। এই সময় একই জায়গায় নদীতে আরো পাঁচটি জাহাজ ছিল।’ শুধু কুয়াশার কারণেই যে দুর্ঘটনা ঘটে, এ কথা তিনি মানতে নারাজ। তার অভিযোগ, অপর জাহাজটি সঠিক নির্দেশনা মানছিল না। এ দুর্ঘটনার খবর বাংলাদেশের এজেন্সিতে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। দুর্ঘটনার খবর ছড়িতে পড়তেই এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয়রা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ভোর ৫টা নাগাদ নদীতে দুর্ঘটনা হয়েছে। কুয়াশার জন্য দুটি জাহাজের মধ্যে ধাক্কা লেগেছে। একটি জাহাজ থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছি আমরা।’
প্রসঙ্গত, ঠিক এক মাস আগে একই রকমভাবে দুটি জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষে হুগলি নদীর চরে আটকা পড়েছিল বাংলাদেশের একটি জাহাজ। ওই জাহাজটি ব্যান্ডেল থেকে ছাই নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় হুগলি নদীর চরে আটকে যায়। হুগলি নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় জাহাজটি চরে আটকে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল।
হুগলি নদীতে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত হুগলি নদীর নাব্যতা কমছে। এ কারণে প্রায়ই নদীটি দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন দেশের জাহাজ চরে আটকে পড়ার ঘটনা ঘটছে। মুখোমুখি সংঘর্ষও হচ্ছে জাহাজগুলোর। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সংঘর্ষগুলো হচ্ছে কম নাব্যতা এলাকাগুলো এড়িয়ে জাহাজ চালাতে গিয়েই।