দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : পৃথক হামলা ও সহিংসতায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর হন্ডুরান সরকার দুটি শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার উত্তরের এই দুটি শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর চোলোমার একটি বিলিয়ার্ডস হলে অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে ১৩ জন নিহত এবং আরো একজন গুরুতর আহত হয়।
পুলিশ আরো জানায়, শনিবার শিল্প শহর সান পেড্রো সুলসহ উত্তর ভ্যালে দে সুলা এলাকাজুড়ে পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়। প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো চোলোমাতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ১৫ দিনের কারফিউ ঘোষণা করেছেন। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সান পেদ্রো সুলায় শহরে ৪ জুলাই কার্যকর হবে। কাস্ত্রো টুইটারের মাধ্যমে বলেছেন, ‘একাধিক অভিযান, গ্রেপ্তার এবং চেকপয়েন্ট বসানো শুরু করা হয়েছে।
হিংসাত্মক গ্যাং মোকাবিলার জন্য গত বছরের ডিসেম্বর থেকে হন্ডুরাসের কিছু অংশে আংশিক জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী গুস্তাভো সানচেজ রবিবার রাতে জানান, ‘অপরাধী গ্যাংয়ের সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসাবে তালিকাভুক্ত করার’ জন্য কংগ্রেসে প্রস্তাব পাঠাবে সরকার।
মন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতায় বলেন, সুলা উপত্যকায় ১ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ও সামরিক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে, যেখানে চোলোমা এবং সান পেদ্রো সুল অবস্থিত। প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো বলেন, সরকার চোলোমায় হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে এবং গ্রেপ্তারে সাহায্য করার জন্য ৮ লাখ লেমপিরাস বা ৩২ হাজার ৭০৭ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ পুরস্কার দেবে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই হন্ডুরাসের একটি নারী কারাগারের ভেতর দুই পক্ষের সহিংসতায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। কারাগারের ভেতর দুই গ্যাং গ্রুপের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ লিপ্ত হলে, একটি গ্রুপ সেলের ভেতর আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।