দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, মারবার্গ ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। প্রথমবারের মতো স্পেনে মারবার্গ রোগের সন্দেহভাজন কেস শনাক্ত করা হয়েছে। ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। মারবার্গ একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে দুই শতাধিক মানুষকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে।
আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি সম্প্রতি ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে ছিলেন। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যালেন্সিয়ার লা ফে হাসপাতালের একটি বিচ্ছিন্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) অনুসারে, মারবার্গ ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এটি নিরাময়ের জন্য অনুমোদিত কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই।
এদিকে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি দুই শতাধিক লোককে কোয়ারেন্টিনে রেখেছে। এ ছাড়াও ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশটির কি-এনতেম প্রদেশে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সেখানে রক্তক্ষরণজনিত জ্বর প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। ডাব্লিউএইচও অনুসারে, মধ্য আফ্রিকান এই ছোট দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৯টি মৃত্যুর পাশাপাশি এই রোগের ১৬টি সন্দেহভাজন কেস রয়েছে। তাদের জ্বর, ক্লান্তি, রক্তের দাগযুক্ত বমি, ডায়রিয়াসহ এই রোগের লক্ষণ রয়েছে। দেশটিতে মহামারি সংক্রান্ত নজরদারি বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্যামেরুনিয়ান কর্তৃপক্ষও ইকুয়েটোরিয়াল গিনির সীমান্তবর্তী কমিউন ওলামজেতে ১৩ ফেব্রুয়ারি মারবার্গ রোগের দুটি সন্দেহভাজন কেস শনাক্ত করেছে। এই অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য প্রতিনিধি রবার্ট মাথুরিন বিডজাং ১৪ ফেব্রুয়ারি এ তথ্য জানিয়েছেন। ক্যামেরুন সংক্রমণ এড়াতে সীমান্তে চলাচল সীমিত করেছে।