দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রাশিয়া এখন ইরানের বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তেহরানের অর্থমন্ত্রী এহসান খানদৌজি এ কথা বলেছেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে খানদৌজি বলেছেন, রাশিয়া চলতি অর্থবছরে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে ২.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা এই সপ্তাহে শেষ হয়েছে। শিল্প, খনি ও পরিবহন খাতসহ বিভিন্ন খাতে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। রাশিয়ার পর তালিকার দ্বিতীয় অবস্থাছে আছে আফগানিস্তান, দেশটি ইরানে ২৫৬ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে কৌশলগত হিসেবে সংজ্ঞায়িত করি। আমরা অনেক দিক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক সম্পর্কে একসঙ্গে কাজ করছি।’এ ছাড়াও মন্ত্রী জোর দিয়ে জানিয়েছেন, চীন ও রাশিয়া ইরানের দুই প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার এবং তেহরান ‘কৌশলগত চুক্তি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে।
এদিকে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্রদের অভিযোগ, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ইরান সশস্ত্র ড্রোন সরবরাহ করেছে। এ বিষয়ে খানদৌজি বলেছেন, সংঘর্ষটি ইরানের জন্য ‘দুর্ভাগ্যজনক’। তবে রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি থেকে তেহরান রাজস্ব পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই ইরানি মন্ত্রী কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনিও অভিযোগগুলো মঙ্গলবার প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে সংঘাত শুরু এবং এর থেকে লাভবান হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোহসেন করিমি জানুয়ারিতে বলেছিলেন, ইরান ও রাশিয়া বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য তাদের আন্তঃব্যাংক যোগাযোগ এবং স্থানান্তর ব্যবস্থা সংযুক্ত করেছে ।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটিকে বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফট আর্থিক বার্তা পরিষেবার সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত বছর ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের পর থেকে কিছু রাশিয়ান ব্যাংকও একই ধরনের সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়েছে। ইরানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে সীমিত করেছে।