দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইসরায়েলের জেলে ৮৭ দিন অনশন করে মারা যান খাদের আদনান। এর পরেই হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়ে। ইসরায়েলের দাবি, ৩০টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। হামাস ও ইসলামিক জেহাদ জানায়, এটা ছিল প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া।
কিন্তু এরপর ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলে। কামান থেকে গোলা ছোড়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মিসর, কাতার ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সক্রিয় হন। তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাত সাড়ে ৩টা থেকে দুই পক্ষ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়। এর আগে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে তারা মিসর, কাতার ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন।
আদনান পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি রুটি বিক্রি করতেন এবং ৯ সন্তানের বাবা ছিলেন। গত আট বছরে তাকে ১২ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রায় প্রতিবারই প্রশাসনিক নির্দেশে তাকে আটক করা হয়। ছয় মাসের ব্যবধানে এভাবে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার করতে পারে ইসরায়েলি পুলিশ-প্রশাসন।
আদনান এর আগেও তিনবার অনশন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এবার তিনি লাগাতার অনশন করছিলেন। ৮৭ দিন অনশন করার পর তিনি মারা যান। তারপরই এই সংঘাত তীব্র হয়। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল ইসরায়েলকে অনুরোধ করেন, তারা যেন একতরফা কোনো ব্যবস্থা না নেয়। তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাসেলসে দেখা করে আলোচনাও করেছেন।