দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : কানাডা থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে দুই শিশুসহ আট অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কতৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তের কাছে সেন্ট লরেন্স নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে রোমানিয়া ও ভারতের দুটি পরিবার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার পুলিশ একটি হেলিকপ্টার নিয়ে সেন্ট লরেন্স নদীর ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় আরো দুটি মৃতদেহ দেখতে পায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই এলাকায় ক্যাসি ওকস নামে ৩০ বছর বয়সী নিখোঁজ এক নৌকার মাঝিকে খুঁজতে গিয়ে এই লাশগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু কেসি ওকস(৩০) নামে ওই ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ওকস এবং নিহত পরিবারের মধ্যে এই ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম মৃতদেহটি মার্কিন-কানাডা সীমান্তের ঠিক মধ্যবর্তী মোহাক অঞ্চল আকওয়েসানে সি স্নাইনের একটি জলাভূমিতে পাওয়া যায়। এর আশেপাশেই বাকি লাশগুলো পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুইজন শিশু। একটি শিশুর বয়স তিন বছরের কম এবং শিশুটি কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশ প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, নিহত অপর শিশুটিও কানাডার নাগরিক ছিল। তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ।
অ্যাকওয়েসনের পুলিশ সার্ভিসের ডেপুটি চিফ লি-অ্যান ও’ব্রায়েন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সবাই কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ প্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বুধবার রাতে ওই এলাকায় আবহাওয়া বেশ খারাপ ছিল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। আমাদের বের করতে হবে আসলেই কী ঘটেছিল, কীভাবে ঘটেছিল এবং এই ধরনের ঘটনা কমানোর জন্য আমরা আর কী করতে পারি।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমন অনেক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরা সবাই কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা কিরেছিলেন। গত ডিসেম্বরে স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। তাকেও সীমান্তে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া গত জানুয়ারিতেও কানাডার পুলিশ যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে এক শিশুসহ চারজনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছিল। মৃতদেহগুলো ভারতীয় পরিবারের বলে জানিয়েছিল মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন বর্ডার এজেন্টরা জানিয়েছে, কানাডা থেকে আসা এমন অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত জানুয়ারিতে মার্কিন সীমান্তরক্ষীরা এমন ৩৬৭ অভিবাসীকে আটক করেছিল। যা গত ১২ বছরের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি।