দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের নিয়ম পরিবর্তন হচ্ছে। গত দিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটিকে বৃহত্তম পরিবর্তন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ৩০টির বেশি সংশোধনীর ফলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমবে এবং কাজে গতি পাবে। যে নিয়মের কারণে ব্যাংকগুলো রিটেইল ব্যাংকিংকে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থায়ন থেকে আইনিভাবে আলাদা করতে বাধ্য হয়েছে, সেটাও পর্যালোচনা করা হবে।
২০০৮ সালে অর্থনৈতিক সংকটের মুহূর্তে কিছু নিয়ম চালু হয়েছিল। ব্রিটেনে ওই সময় কিছু ব্যাংক বড় ধরনের ঝুঁকিতে ছিল। কিন্তু বর্তমানে ব্রিটেনের অর্থনীতির চাহিদা এবং সক্ষমতার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সামঞ্জস্যের জন্য এই পরিবর্তন প্যাকেজটি নিয়ে আসা হচ্ছে। এটিকে বলা হচ্ছে ‘এডিনবরা সংস্কার’; ব্রেক্সিট-পরবর্তী স্বাধীনতার একটি উদাহরণ হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে এটিকে। তবে, সমালোচকরা বলছেন, অর্থনৈতিক সঙ্কটের শিক্ষাকে ভুলিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে জনগণের দেওয়া ১৩৭ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিল।
অফিস ফর দ্য বাজেট রেসপনসিবিলিটি সম্প্রতি জানিয়েছে, করদাতারা ওই সময় ৩৬.৪ বিলিয়ন পাউন্ড হারিয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৮৬ সালে মার্গারেট থ্যাচারের সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়মগুলো সহজ করার এসব পরিকল্পনাকে আরেকটি ‘বিগ ব্যাং’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, ব্যাংকারদের বোনাসে কাটছাঁট হবে। সেই সঙ্গে বীমা কম্পানিগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ লগ্নির অনুমতি দেবে। সেসবের মধ্যে রয়েছে, হাউজিং এবং উইন্ডফার্মগুলোতে বিনিয়োগ বাড়ানোর মতো প্রকল্প। এসব কাজে সহায়তাও দেওয়া হবে। জ্যেষ্ঠ আর্থিক কর্মকর্তাদের কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়, পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং অনুমোদন দেওয়া হয়; সেইসব নিয়মও সংশোধন করা হবে।