দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত তার দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করেছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সামরিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছিলেন ভাদিম প্রিস্টাইকো। প্রতিদিন সকালে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো নিয়ে জেলেনস্কির প্রতিশ্রুতিকে ‘অস্বস্তিকর বিদ্রুপ’ বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি। তবে কিয়েভ বরখাস্তের কোনো আনুষ্ঠানিক কারণ জানায়নি।
শুধু নিশ্চিত করেছে যে প্রিস্টাইকো আর রাষ্ট্রদূত নন। এই মাসের শুরুর দিকে বেন ওয়ালেস বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনকে সতর্ক করে বলেছিলেন, তার মিত্ররা ‘আমাজন নয়’। পশ্চিমা রাজনীতিবিদদের আরো কিছু দেওয়ার জন্য রাজি করাতে কিয়েভকে প্রাপ্ত অস্ত্রের জন্য কৃতজ্ঞতা দেখানো দরকার। ইউক্রেনকে সদস্য করতে বিলম্বের জন্য প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামরিক জোটের সমালোচনা করার পর ন্যাটো সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওয়ালেসের মন্তব্য কিয়েভে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল এবং তিনি পরে বলেছিলেন, তার কথাগুলো ‘কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে’। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ইউক্রেন যুক্তরাজ্যের সমর্থনকে কতটা মূল্য দেয় তাতে তিনি ‘আঘাত’ পেয়েছেন।
জেলেনস্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আর কিভাবে আমরা আমাদের কৃতজ্ঞতা দেখাতে পারি? আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে পারি। তিনি আমাকে চিঠি লিখুক এবং কিভাবে তাকে ধন্যবাদ জানাব তা আমাকে বলুক। পরে প্রিস্টাইকো বলেছিলেন, গত সপ্তাহে তার প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়ায় ‘একটু বিদ্রুপ’ ছিল, যা তিনি ‘অস্বস্তিকর’ বলে মনে করেছেন। তিনি স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমাদের জন্য কেউ লড়াই করুক—আমরা কেউ তা আশা করছি না, আমরা কেবল সরঞ্জাম চাই। বেন আমাকে কল করতে পারেন এবং তিনি যা চান তা বলতে পারেন।’
২০২০ সাল থেকে প্রিস্টাইকো লন্ডনে তার পদে ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার জেলেনস্কি তাকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করে বলেন, তাকে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে ইউক্রেনের প্রতিনিধির পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এর আগেও তার রাষ্ট্রদূতদের বরখাস্ত করেছেন। এক বছর আগে একসঙ্গে পাঁচজনকে বরখাস্ত করেছেন, যা একটি রদবদল হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে জার্মানিতে বিতর্কিত রাষ্ট্রদূত আন্দ্রি মেলনিককে বরখাস্ত করা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্টভাষী উপস্থিতির জন্য তিনি পরিচিত। ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য বারবার আবেদনের মাধ্যমে তিনি জার্মানিতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন।