দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের (এটিসি) বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে ১৪ মামলা থেকে ইমরান খানকে জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১৩ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলার সঙ্গে যুক্ত এই ১৪টি মামলা। বর্তমানে ইমরান খান কারাগারে বন্দি আছেন।
ইমরানের ১৪ মামলার মধ্যে ১২টি ৯ মেকে কেন্দ্র করে। বাকি দুটি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ) ও সামরিক বাহিনীর জাদুঘরে হামলা সংশ্লিষ্ট। বিচারক মালিক এজাজ ইমরান খানকে ১২টি মামলায় বাংলাদেশি টাকায় ২২ দশমিক ৪১ লাখ টাকা বন্ডে জামিন দিয়েছেন। জাতীয় পরিষদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ভোট গণনা ও সরকার গঠন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে পাকিস্তানে।
এসব বিষয় নিয়ে দুই দিন পার হওয়ার পর সুখবর পেয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। আদালতের সিদ্ধান্তটি নির্বাচনে ইমরান খানের দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ের পর জানানো হলো। ইমরান খানের পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিও ১৩টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গত ৯ মে আদালত চত্বরে গ্রেপ্তার হন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পিটিআই নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে পাকিস্তানের সেনানিবাস ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা হয়। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ দুই স্থাপনায় হামলা চালান পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন হয়েছে। ২৬৬ আসনে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ সমর্থিতরা জয় পেয়েছে ৯৯ আসনে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ পেয়েছে ৭১, পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৩ আসন। এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী, আরো ১০ আসনে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ৪৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।