দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ভারতের সিকিম রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৪০ জন মারা গেছে। দেশটির সেনাবাহিনী বন্যায় আটকে থাকা হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। সিকিম সরকার আরেকটি হিমবাহী হ্রদ উপচে পানি বয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। লাচেনের কাছে শাকো চো হ্রদটি ফেটে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ আশেপাশের এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
সিকিমের মুখ্য সচিব বিজয় ভূষণ পাঠক বলেন, ‘লাচেন ও লাচুং-এ প্রায় তিন হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। মোটরসাইকেলে করে সেখানে যাওয়া তিন হাজার ১৫০ জনও বন্যার কারণে আটকা পড়েছে। আমরা সেনা ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে সবাইকে সরিয়ে নেব। এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বন্যায় ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার পর্যন্ত তিস্তায় ভেসে এসেছে ২২ মৃতদেহ।
তিস্তার অববাহিকা এবং উত্তরবঙ্গের সমতলের একাংশ জুড়ে বৃহস্পতিবার দিনভর উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন সেনা সদস্যের এবং দু’জন সাধারণ নাগরিক বলে এখনও শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকিদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তিস্তাপার থেকেও বেশ কয়েকটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাগুড়ি এবং ক্রান্তি থেকেও মিলেছে দেহ উদ্ধারের খবর।
প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক তিন জায়গায় ধসে তিস্তায় চলে গিয়েছে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুধু সিকিমই নয়, জাতীয় সড়কে ধসের কারণে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে কালিম্পং সঙ্গেও।