দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পারমাণবিক হমলার অশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু রাশিয়া পাগল হয়ে যায়নি এবং প্রথমেই পারমাণবিক হামলা চালাবে না। পুতিন জোর দিয়ে বলেন, তার দেশে হামলা চালালে তার জবাবে শুধুমাত্র এমন গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করবেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার বার্ষিক মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।
ফেব্রুয়ারীতে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা বুদ্ধি পায়।‘পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই আশঙ্কা লুকানো ভুল হবে’ বলে এর আগে হুশিয়ারি দিয়েছিল প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু তিনি পরে জোর দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ‘কোন অবস্থাতেই’ প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না এবং পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ে কাউকে হুমকি দেবেন না। রাশিয়া পাগল হয়ে যায়নি। আমরা জানি পরমাণু অস্ত্র কি।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার কাছে সর্বাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিন্তু তাদের পরমাণুনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো না। তিনি দাবি করেন, মার্কিনিরা পরমাণু অস্ত্র তুরস্কসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে মজুদ রেখেছে। এই কাজ রাশিয়া করেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, রাশিয়া যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পেয়েছেন বলে তিনি জানান। এ দিয়ে তিনি বুঝিয়েছেন, ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে অঙ্গীভূত করা। এই চারটি অঞ্চল হলো, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া।
আজভ সাগরের তীরে অবস্থিত অঞ্চলগুলো রাশিয়ার অংশ হবে এমন আকাঙ্খা ছিল পিটার দ্য গ্রেটেরও বলে জানান তিনি। আজভ সাগরের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেন ও দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার সীমান্ত রয়েছে। ১৭-১৮ শতকের শাসক ছিলেন পিটার দ্য গ্রেট। যার সঙ্গে এর আগেও নিজেকে তুলনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।