দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় তুষারধসে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং আরো ২৫ জন আহত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। তারা বলছেন, খারাপ আবহাওয়া ও সীমিত সক্ষমতা উদ্ধার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। ঘটনাটি শনিবার আস্তোর জেলার শাউন্টার পাসের কাছে ঘটেছে, যা গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলকে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
উদ্ধার কর্মকর্তা সুবাহ খান বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে ফিরে আসা প্রায় ৩৫ জন যাযাবরের একটি দল একটি গিরিখাতের কাছে ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। তারা গভীর রাতে একটি তুষারধসে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যার ফলে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে।’ তিনি আরো জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, ১৫টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার আলতামাশ জানজুয়া বলেছেন, একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১১ জন আহতকে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
আহতরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি। গিলগিট-বালতিস্তানের মুখ্য সচিবও এক বিবৃতিতে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুহাম্মদ রিয়াজ নামের ওই এলাকার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুর্গম এলাকায় উদ্ধার অভিযানে বাসিন্দারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক তুফায়েল মীর বলেছেন, ভোরবেলা শাউন্টার পাসের কাছে তুষারধসে নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্গম অবস্থান ও দুর্গম ভূখণ্ডের কারণে উদ্ধারকারী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। এদিকে গিলগিট-বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খালিদ খুরশিদ খান প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি অভ্যন্তরীণ সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক এবং অন্য কর্মকর্তাদের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। মুখ্য সচিব মহিউদ্দিন ওয়ানি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে উদ্ধারকারী দলগুলোকে দুর্গত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।প্রতিবছর বাকরওয়াল নামেও পরিচিত স্থানীয় যাযাবররা তাদের পশুপালের জন্য উপযুক্ত চারণভূমির সন্ধানে এবং কঠোর আবহাওয়ার পরিস্থিতি এড়াতে তাদের পশুপালের সঙ্গে স্থানান্তরিত হয়।