দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় একটি গ্রামে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০ জনকে হত্যা করেছে। স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা যায়, বেনু রাজ্যের উমোগিদি সম্প্রদায়ে বুধবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে যাযাবর পশুপালক এবং জমি ও সম্পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বসতি স্থাপনকারী কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বেনু রাজ্যের গভর্নরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পল হেম্বা এএফপিকে বলেছেন, ‘৪৬ জন নিহতের মরদেহ পাওয়া গেছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাই নিহতদের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। সৈন্যদের ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে, তাই পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত।’ এ ছাড়াও গত এক মাস ধরে স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি পশুপালকদের দোষারোপ করেছেন। আক্রমণের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল না। কিন্তু কৃষক এবং পশুপালকদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা পশুপালকদের বিরুদ্ধে গবাদি পশু চরিয়ে কৃষিজমি ধ্বংস করার অভিযোগ করেছে।
এ ঘটনায় জাতীয় পশুপালক সমিতির একজন প্রতিনিধিকে তাৎক্ষণিক মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি। ওটুকপোর স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান বালা এজেহ বলেছেন, বুধবার বিকেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়, যখন মানুষ একদিন আগে নিহত তিনজনের শোক পালন করছিল। তার নিজের ছেলে ও দুই আত্মীয়সহ এখন পর্যন্ত ৪৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১৪ বছর ধরে চলা চরমপন্থী সংঘাত এবং দক্ষিণ-পূর্বে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে দেশটির উত্তর-পশ্চিম এবং কেন্দ্রে বৃহত্তর অপরাধও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ভারি সশস্ত্র দস্যু মিলিশিয়ারা গ্রামগুলো লুটপাট করে এবং মুক্তিপণের জন্য গণ অপহরণ করে।
প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর সামনে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। তিনি গত মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জিতেছেন। তবে সেই নির্বাচনে বিলম্ব এবং ভোট কারচুপির অভিযোগে রয়েছে।