দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ৮ থেকে ১০ জুলাই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সময় অস্ট্রিয়াতেও যাবেন তিনি। ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ রুশ-ভারত সম্পর্কের আরো উন্নয়নের সম্ভাবনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক এজেন্ডায় প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন’। মস্কো ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরর পর রাশিয়ায় এটি মোদির প্রথম সফর।
পশ্চিমাবিশ্বে বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে পুতিন মোদিকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র হিসেবে বিবেচনা করেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জটিল। পাশাপাশি ভারত রুশ তেলের ক্রয় বাড়িয়েছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে যোগ দেয়নি।
এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনে সংঘাত সম্পর্কে মোদির ‘উদ্বেগ’ তিনি বুঝতে পারেন। মোদি চান, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ এ যুদ্ধ শেষ হোক। এই বছরের শুরুর দিকে ভারত বলেছিল, তারা রাশিয়াকে তাদের কিছু নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে, যারা রুশ সেনাবাহিনীতে সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন।
এর আগে রুশ সীমান্ত শহরে আটকা পড়া কয়েকজন ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। ভারত তার নাগরিকদের ‘এই সংঘাত থেকে দূরে থাকার’ আহ্বান জানিয়েছে। নয়াদিল্লি কিয়েভের কট্টর সমর্থক না। তবে গত মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি শীর্ষ শান্তি সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে দেশটি। ওই বিবৃতিতে যেকোনো শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এ ছাড়া ভারত রুশ তেলের প্রধান ক্রেতায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাশিয়া সেখানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি রপ্তানি বাজার পেয়েছে। তবে অর্থপ্রদানের সমস্যা ও রুশ রপ্তানিকারকরা আয় ফিরিয়ে আনতে পারছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত মোদি শেষবার রাশিয়া সফর করেছিলেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। তিনি দেশটির সুদূর পূর্বের শহর ভ্লাদিভোস্টকে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।