দেশ বিদেশ নিউজ ডেস্ক : তুরস্কের বার্তিন প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিবিসি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং এখনো খনির ভেতরে অনেকে আটকা পড়ে আছে। বিস্ফোরণের সময় অন্তত ১১০ জন শ্রমিক ওই কয়লা খনিতে কাজ করছিল এবং এর অর্ধেকই ছিল ৩০০ মিটারের বেশি গভীরে। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১১ জনকে তারা উদ্ধার করেছেন; যাদের এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু সন্ধ্যার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বলেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের সময় খনিটিতে আমাদের ১১০ বা তার চেয়ে কিছু বেশিসংখ্যক শ্রমিক ভাই কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন এবং আটকা পড়েছেন প্রায় ৫০ জন। তিনি জানান, খনির ভেতরে দু’টি স্থানে আটকা পড়েছেন এই শ্রমিকরা। একটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯৮৫ ফুট এবং অপরটি ১ হাজার ১৫০ ফুট গভীরে।
তুরস্কের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ইতোমধ্যে ওই খনি এলাকার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেসব ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দুর্যোগব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধার বাহিনীর কর্মী, জরুরি স্বাস্থ্য সেবার কর্মী এবং নিহত ও আটকে পড়া শ্রমিকদের আত্মীয়-স্বজন ভীড় করেছেন ওই এলাকায়। অনেককেই কাঁদতে দেখা গেছে।
দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর শনিবার যাবতীয় কর্মসূচী স্থগিত রেখে আস্তানা থেকে তুরস্কে পৌঁছেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তুরস্কে পৌঁছে এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, প্রার্থনা করছি, নিহতের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে এবং আমরা যেন আটকে পড়া সব শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারি।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ৭০ শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে; তবে আমাশরার মেয়র রেকাই কাকির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত যত শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই গুরুতর আহত।