দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করার চেষ্টা করা একটি নৌকা তিউনিসিয়ার কাছে ডুবে গেছে। এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে দেশটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উত্তর আফ্রিকার দেশ থেকে নৌকায় করে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী শরণার্থীদের সংখ্যার তীব্র বৃদ্ধির মধ্যে এ ঘটনা ঘটল। দেশটির স্ফ্যাক্স আদালতের বিচারক ফৌজি মাসমুদি শনিবার বলেছেন, স্ফ্যাক্সের উপকূলে নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর উপকূলরক্ষীরা আরো ১৭ জনকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিউনিসিয়ার উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনায় কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ বা মারা গেছে। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় সমুদ্র পাড়ি দেওয়া মানুষদের জন্য লিবিয়াকে প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে প্রতিস্থাপিত করেছে তিউনিসিয়া।
তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ড শুক্রবার বলেছে, ১৪ হাজারেরও বেশি শরণার্থী বছরের প্রথম তিন মাসে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করার সময় আটকা বা উদ্ধার হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে এসেছিল। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের রেকর্ডকৃত পরিসংখ্যানের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।
বাহিনীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে ‘কোস্ট গার্ড টহল সামুদ্রিক সীমান্ত অতিক্রম করার ৫০১টি গোপন প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছে এবং সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে আসা ১৩ হাজার ১৩৮ জনসহ মোট ১৪ হাজার ৪০৬ জনকে (শরণার্থী) উদ্ধার করেছে।’ বেশিরভাগ প্রতিরোধ স্ফ্যাক্স এবং মাহদিয়া প্রদেশের উপকূলে সংঘটিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে, যা ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসা থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শুক্রবার বলেছেন, তিউনিসিয়ায় আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা না হলে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপের উপকূলে শরণার্থীদের একটি বিশাল ঢেউ দেখার ঝুঁকি রয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল এবং অন্যান্য দেশকে তিউনিসিয়ার পতন এড়াতে দ্রুত সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন মেলোনি। তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল আম্মার গত সপ্তাহে বলেছিলেন, দেশটির সীমানা আরো ভালভাবে রক্ষা করার জন্য তহবিল এবং সরঞ্জাম প্রয়োজন। দেশটি বিগত বছরগুলোতে ইতালি থেকে সরঞ্জাম পেয়েছিল। কিন্তু আম্মার বলেছিলেন, সেগুলো পুরানো এবং যথেষ্ট নয় ।