দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : জাপানে ভূমিকম্পে আঘাত হানার তিন দিন পর উদ্ধারকারীরা ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা জীবিত উদ্ধার করেছে। তাঁকে ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে টেনে বের করা হয়। ওয়াজিমা শহর থেকে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সময় গত সোমবার নোটো উপদ্বীপে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৮২ জন নিহত হয়।
ধরণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরো বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। ভূমিকম্পের তিন দিনের বেশি অতিক্রম হয়ে যাওয়ায় জীবিত মানুষ উদ্ধারের সম্ভবনা কমে এসেছে। জীবিত হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে। ভূমিধসের কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে সাহায্য পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ১৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ‘খুব কঠিন পরিস্থিতি’ বিরাজ করা সত্ত্বেও উদ্ধার তৎপরতা চলবে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। কিছু শহরে পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেটের পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে বলেছে, আরো ভূমিকম্প এবং সুনামির সম্ভবনা রয়েছে।
ফলে আগামী কয়েকদিন অতিরিক্ত সতর্কতার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। কিছু মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছে। নতুন বছরের প্রথম দিন জাপানের ইশিকাওয়ায় আঘাত হানে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় সোমবার প্রত্যন্ত নোটো উপদ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওয়াজিমা এবং সুজু শহর।
১ জানুয়ারির বিকেল থেকে ৩ জানুয়ারী বিকেল ৪ টা পর্যন্ত জাপানের ‘মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি’ নোটো উপদ্বীপে ৫২১টি ভূমিকম্প রেকর্ড করেছে। জাপানি স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ১ বা তার বেশি। সংখ্যানটি ডিসেম্বর ২০২০ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে ঘটা এই ধরণের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।