দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : গত মঙ্গলবার পশ্চিম কানাডায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। নোভা স্কশিয়া দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরের চলে গেলে ১৬০০০ এর বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। নোভা স্কশিয়ার প্রদেশ প্রধান টিম হিউস্টন বুধবার (৩১ মে) বলেছেন যে, তার সরকার অন্যান্য প্রদেশ থেকে সহায়তা পেয়েছে। আরো সহায়তার জন্য উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রাদেশিক রাজধানী হ্যালিফ্যাক্সের কাছে দুটি বড় দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারপরও সেখানে দমকলকর্মীরা কাজ করছেন। ১৪টি দাবানলে পুড়ছে নোভা স্কশিয়া প্রদেশ। বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দাবানলের ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে ২০০টিরও বেশি অবকাঠামো। যার মধ্যে বেশিরভাগই হলো বাড়ি-ঘর। তবে এখন পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হিউস্টন বলেন, আমরা একটি সংকটে আছি।
আমদের সহায়তা দরকার। যার কাছ থেকে যা পাবো, তার সম্পূর্ণ সহায়তাই আমরা নেবো। দাবানল প্রায় ৮৩৭ হেক্টর জমি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যারিংটন লেক এবং পাবনিকো এলাকায় অন্য দুটি দাবানলও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে।
নোভা স্কশিয়া প্রতিবছরই দাবানল দেখা যায়। তবে সেগুলো সাধারণত কয়েকশ একর অঞ্চল পুড়িয়েই নিভে যায়। কিন্তু রেকর্ড ভাঙা ব্যারিংটন লেকের দাবানল ২০ হাজার একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়েছে এবং এটি এখনো ছড়াচ্ছে। নোভা স্কোটিয়ায় এর আগে সবচেয়ে বড় দাবানল দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে। সে বছর ভয়াবহ আগুনে পুড়েছিল ১৩ হাজার হেক্টর অঞ্চল।